একের পর এক মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী থাকছে বিশ্ববাসী। বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা গেছে গত ২৬ মে। সেটি ছিল ব্লাডমুন। সেদিনই হয় বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ। তার কিছুদিন পরে হয় সূর্যগ্রহণ।
এবার আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবীবাসী। আগামী ২৪ জুন বৃহস্পতিবার পৃথিবীবাসী সাক্ষী থাকবে এ বছরের শেষ সুপারমুনের। এদিনের চাঁদ ‘স্ট্রবেরি মুন’ নামেও পরিচিত। যে কারণে ‘সুপারমুন’ এদিন চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্ব কমে যাওয়ায় অন্য দিনের তুলনায় পৃথিবী থেকে চাঁদকে অনেক বড় দেখাবে। সেই কারণেই এর নাম সুপারমুন। এদিন অন্য দিনের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ বড় এবং ১৫ শতাংশ উজ্জ্বল দেখাবে চাঁদ। সাধারণত পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটারের আশপাশে থাকে। কিন্তু সুপারমুনের ক্ষেত্রে এই দূরত্ব কমে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটারে চলে আসে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ডিম্বাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে। কক্ষের মাঝামাঝি চলে এলে চাঁদের দূরত্ব কমে যায়। তখন চাঁদ বড় দেখায়। যে কারণে ‘স্ট্রবেরি মুন’ এদিনের ফুল মুন ‘স্ট্রবেরি মুন’ নামে পরিচিত হলেও, চাঁদকে কিন্তু মোটেও স্ট্রবেরির মতো লাল দেখাবে না। বরং চাঁদের রঙ শুরুতে কমলা, এরপর ধীরে ধীরে হলুদ রঙের হবে। তারপর আকাশে যখন একবারে উঁচুতে থাকবে তখন খুব উজ্জ্বল দেখা যাবে। এত বেশি ঝকঝক করবে যে তাকানোই দায় হয়ে যাবে। মূলত এই সময় থেকে স্ট্রবেরি ফসল কাটার মৌসুম শুরু হয় বলে এটি স্ট্রবেরি মুন হিসেবে পরিচিত। স্ট্রবেরি চাষের মৌসুমের শুরুতে প্রথমবার এই চাঁদ দেখেছিলেন প্রাচীন আমেরিকান উপজাতির মানুষরা। তারপর থেকেই এই চাঁদকে বলা হয় স্ট্রবেরি মুন। অন্যান্য অনেক দেশে জুন মাসের এই ফুল মুনের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন- ইউরোপে এই চাঁদকে বলা হয় রোজ মুন। কারণ এই সময় থেকে ইউরোপে গোলাপের চাষ শুরু হয়।
২০২১ সালের আসন্ন বিভিন্ন ফুল মুন ২৪ জুন যে ফুল মুন দেখা যাবে, তা হবে সুপারমুন। এটি স্ট্রবেরি মুন নামে পরিচিত। এরপর ২৪ জুলাই পরবর্তী ফুল মুন দেখা যাবে। তাকে বলা হয় বাক মুন।
আগস্ট মাসের ২২ তারিখ যে ফুল মুন দেখা যাবে তা স্টারজন মুন নামে পরিচিত।আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে হারভেস্ট মুন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।